MLWBD COM, TorrentBD ও CrazyHD এর মত Private Torrent ওয়েবসাইট Ratio নিয়ন্ত্রণে রাখা এখন খুব সহজ !

MLWBD COM, TorrentBD ও CrazyHD এর মত Private Torrent ওয়েবসাইট Ratio নিয়ন্ত্রণে রাখা এখন খুব সহজ : আজকে আমি আপনাদেরকে দেখিয়ে দিব বা শিখাব MLWBD COM, TorrentBD ও CrazyHD এর মত Private Torrent ওয়েবসাইট এর রেটিও নিয়ন্ত্রণে রাখা এখন কত টুকু সহজ।  এই বিষয় সবচেয়ে ভালো কিছু আলোচনা করব। পাবলিক টরেন্ট ওয়েবসাইট গুলো থেকে যে কেউ ডাউনলোড করতে পারে ।

এই গুলোর সব টরেন্ট ফ্রিলিচ করা যায় । ফ্রিলিচ কি ? ফ্রিলিচ হচ্ছে ফ্রি ডাউনলোড । এসব ফ্রিলিচ টরেন্ট ডাউনলোডের জন্য আপনাকে ডাউনলোড শেষের পর বাধ্য হয়ে সিড করতে হবে । আপনি চাইলে সিড করতে পারেন , অথবা নাও করতে পারেন । কিন্তু অন্যদিকে প্রাইভেট টরেন্টে আপনি কিন্তু ফ্রিলিচ করতে পারবেন না ।

Recent Posts

MLWBD COM, TorrentBD ও CrazyHD


MLWBD COM, TorrentBD ও CrazyHD: আপনি যত ডাউনলোড করছেন সে গুলো প্রাইভেট টরেন্টের ট্র্যাকার হিসাব করতে থাকে । ধরুন আপনি ৩ জিবি সাইজের একটি এইচডি মুভি ডাউনলোড করলেন । তখন ট্র্যাকার আপনার ৩ জিবি কাউন্টে নিবে ।

ডাউনলোডের পর যখন আপনি সিড করতে থাকবেন তখন আপনার আপলোড হতে থাকবে ফলে তখন আবার আপলোড বাড়তে থাকবে , তখন প্রাইভেট টরেন্টের ট্র্যাকার হিসাব করতে থাকবে আপনি কত আপলোড করলেন । এখন প্রশ্ন হতে পারে , Ratio কি ?

আপনি যত পরিমাণ ডাউনলোড করলেন, আর যত পরিমাণ আপলোড করলেন তা ভাগ করে যে পয়েন্ট পাওয়া যায়, তাই প্রাইভেট টরেন্টের ratio.

ধরুন আপনি সেই ৩ জিবি মুভি ডাউনলোড করার পর আপনার ডাউনলোড দাঁড়াল সবমিলিয়ে ৩ জিবিতে । এখন যদি আপনি ৬ জিবি আপলোড করেন, তাহলে আপনার ratio হবে ২ আর যদি ১.৫ জিবি আপলোড করেন, তাহলে আপনার ratio হবে ০.৫০ তে ।

প্রাইভেট টরেন্টের বিশেষত হচ্ছে , এখানে আপনাকে ratio নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রাখতে হবে ।

Ratio কতোর মধ্যে রাখতে হবে এটা ওয়েবসাইটের উপর নির্ভর করে । বেশির ভাগ প্রাইভেট টরেন্ট ওয়েবসাইটের ratio ০.২৫ থাকা বাধ্যতামূলক ।

MLWBD COM, TorrentBD ও CrazyHD

বাংলাদেশে বেশ কিছু বছর হলো কিছু লোকাল টরেন্ট চালু হয়েছে । এদের মধ্যে MLWBD COM, TorrentBD ও CrazyHD নাম হয়ত অনেকে শুনেছেন । এসব Torrent বেশির ভাগই BDIX ( বাংলাদেশ ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ )

এর শেয়ার্ড সার্ভারের সাথে যুক্ত, ফলে BDIX এর সাথে সংশ্লিষ্ট ISP গ্রাহকরা বেশি স্পিড পেয়ে থাকেন । এই স্পীড  ৫ এমবিপিএস থেকে ৫০ এমবিপিএস পর্যন্ত হয়ে থাকে (ISP এর উপর নির্ভর করে ) .

১ । ছোট সাইজের টরেন্ট ডাউনলোডের চেষ্টা করুন.

  • ধরুন ১ জিবি সাইজের একটি মুভি ডাউনলোড করবেন তাহলে আপনার ডাউনলোডের পরিমাণ খুব বেশী খরচ হবে না । আবার যাদের ratio অবস্থা খারাপ তারাও কম সাইজের টরেন্ট ডাউনলোড করার চেষ্টা করবে ফলে আপনার আপলোডও বৃদ্ধি পাবে 

২। নতুন আপলোড করা টরেন্ট ডাউনলোড করার চেষ্টা করুন.

  • নতুন আপলোড করা কোন মুভি / গেমস / টিভি সিরিজ ডাউনলোড করার জন্য সবাই উদগ্রীব হয়ে থাকে । কারন বেশীর ভাগ আপলোড করা টরেন্ট নিজ রিলিজড মুভি বা গেমস হয়ে থাকে।

৩ । ফ্রিলিচ লুফে নিন !

  • মাঝে মাঝে প্রাইভেট টরেন্ট গুলো ফ্রিলিচ সুবিধা দিয়ে থাকে । আবার অনেক টরেন্টে ৫০% ফ্রিলিচ সুবিধা থাকে । সেগুলো ডাউনলোড করার চেষ্টা করুন ।

৪। যত বেশী টরেন্ট সিড = তত বেশী সিড বোনাস !

  • এই পদ্ধতিটা । আমি যখন নতুন অ্যাকাউন্ট খুলি তখন আমার ratio খুব বাজে অবস্থায় চলে গিয়েছিলো । তখন আমি খুব ছোট সাইজের টরেন্ট ডাউনলোড করে সিড দিতে থাকি । খুব ছোট সাইজ বুঝাতে আমি ৮ - ১০ এমবি সাইজের টরেন্ট গুলো বুঝাচ্ছি ।

আমি ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার , লাইটশট এবং সেরকম সাইজের ৫০ - ১০০টা টরেন্ট ডাউনলোড করে সিড দিতে থাকি ।

আগেই বলেছি , প্রত্যেকটি টরেন্ট সিড করার জন্য প্রাইভেট টরেন্ট সাইট গুলো ইউজারদের সিড বোনাস দিয়ে থাকে । আপলোড হোক অথবা না হোক , সিড স্ট্যাটাসে থাকলেই আপনি সিড পয়েন্ট পাবেন ।

ধরুন , একটা ট্র্যাকার একটা টরেন্ট ১ ঘণ্টা সিড করার জন্য ১ সিড পয়েন্ট দেয় । তাহলে ১০০টা টরেন্ট সিড করার জন্য আপনি পাবেন ১০০ সিড ঘণ্টায় । আর দিনে ১০ ঘণ্টা সিড করলে ১০০০ সিড বোনাস !

আর যেহেতু কম সাইজের ডাউনলোড করলাম তাহলে কম ডাউনলোড খরচ হলো । আপনার যখন আপলোড কেনার প্রয়োজন হবে তখন আপনি এই সিড বোনাস ব্যবহার করতে পারবেন ।

৫. বেশী ডাউনলোড হয় এমন টরেন্ট নির্বাচন করুন.
কম ডাউনলোড হয় এমন টরেন্ট বর্জন করুন । কারন এগুলো থেকে আপনি আপলোড বেশী করতে পারবেন না ।

শেষ কথা

ট্র্যাকারের সাথে চিট করবেন না , অনেক চিট টুল পাওয়া যায় । এগুলো ব্যবহার করবেন না । তাহলে আপনি ব্যান হতে পারেন । আর যদি ratio ধরে রাখতে ব্যর্থ হোন তাহলে ডোনেট করুন । যত পারেন সিড করুন আর টরেন্ট অ্যাক্টিভ রাখুন ।
ধন্যবাদ !!!

Post a Comment

Previous Post Next Post